সিরিজে ফিরলো দক্ষিণ আফ্রিকা

সিরিজে ফিরলো দক্ষিণ আফ্রিকা

গোলাপি ওয়ানডেতে অজেয় থাকলো দক্ষিণ আফ্রিকা। শনিবার ওয়ান্ডারার্সে চতুর্থ ম্যাচে ভারতকে ৫ উইকেটে হারিয়ে সিরিজে টিকে থাকলো তারা। ৬ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ৩-১ এ এগিয়ে ভারত।টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ভারত করে ২৮৯ রান। ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে দক্ষিণ আফ্রিকার লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৮ ওভারে ২০২ রান। ডেভিড মিলার ও হেনরিক ক্লাসেনের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ২৫.৩ ওভারে ৫ উইকেটে তারা করে ২০৭ রান।
২০ রানে প্রথম উইকেট হারায় ভারত। রোহিত শর্মাকে (৫) ফিরতি ক্যাচ বানিয়ে ফেরান কাগিসো রাবাদা। এ ক্ষতি সহজেই পুষিয়ে দেন শিখর ধাওয়ান ও বিরাট কোহলি। সিরিজে ধারাবাহিকতা ধরে রেখে ১৫৮ রানের জুটি গড়েন তারা।৫৩ বলে টানা তৃতীয় ফিফটি হাঁকানো ধাওয়ান এদিন ছিলেন আরও উজ্জীবিত। সেটাকে ১৩তম সেঞ্চুরি বানাতে ভারতীয় ওপেনার খেলেছেন ৯৯ বল। তার কিছুক্ষণ আগেই কোহলি আউট হন টানা দ্বিতীয় ম্যাচে সেঞ্চুরি না করার আক্ষেপ নিয়ে। ক্রিস মরিসের বাড়তি বাউন্সে কভারে ডেভিড মিলারের হাতে ধরা পড়েন ভারতের অধিনায়ক। কেপটাউনে ১৬০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলা কোহলি এদিন থামলেন ৭৫ রানে। তার ৮৩ বলের ইনিংসে ছিল ৭ চার ও ১ ছয়।

খারাপ আবহাওয়ার কারণে ৩৪.২ ওভারে কিছুক্ষণের জন্য খেলা বন্ধ ছিল। ওই বিরতির পর মাঠে নেমেই আউট হন ধাওয়ান। ১০৫ বলে ১০ চার ও ২ ছয়ে ১০৯ রানে মরনে মরকেলের বলে ডি ভিলিয়ার্সের ক্যাচ হন এই ওপেনারদুজন ফেরার পর ছন্দ হারায় ভারত। তারপর কেবল মহেন্দ্র সিং ধোনি দৃঢ়তার সঙ্গে ব্যাট করেছেন। ৪৩ বলে ৪২ রানে অপরাজিত ছিলেন এ উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান।রাবাদা ও লুঙ্গি এনগিদি দুটি করে উইকেট নেন।

লক্ষ্যে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি দক্ষিণ আফ্রিকার। অধিনায়ক অ্যাইডেন মারক্রাম মাত্র ২২ রানে মাঠ ছাড়েন। এরপর আবার প্রতিকূল আবহাওয়ার হস্তক্ষেপ। স্বাগতিকদের লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৮ ওভারে ২০২ রান। জেপি দুমিনি (১০) ও হাশিম আমলাকে (৩৩) টানা ২ ওভারে ফেরান কুলদীপ যাদব। এই বিপদ কাটাতে ব্যর্থ হন তিন ম্যাচ পর ফেরা এবি ডি ভিলিয়ার্স। ১৮ বলে ১টি চার ও ২টি ছয়ে ২৬ রানে আউট হন তিনি। মিলারের সঙ্গে তার জুটি ছিল ৩৫ রানের।

জয় তখন খুব কষ্টসাধ্য মনে হচ্ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য। কিন্তু মিলার ও ক্লাসেনের ঝড়ে দুর্দান্ত জয় পেলো প্রোটিয়ারা। ৪৩ বলে ৭২ রানের জুটি গড়েন তারা। অবশ্য জয়ের আগেই একজনকে বিদায় নিতে হয়েছে।২৮ বলে ৪টি চার ও ২ ছয়ে ৩৯ রান করে আউট হন মিলার। ক্লাসেন ২৭ বলে ৫ চার ও ১ ছয়ে ৪৩ রানে অপরাজিত ছিলেন। প্রোটিয়াদের জয় আরও সহজ হয়েছে অ্যান্ডাইল ফেহলুকোয়াইয়ো ক্রিজে নামলে। মাত্র ১১ বলে তিনি ৩৩ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন ম্যাচসেরা ক্লাসেনের সঙ্গে। একটি চার ও তিনটি ছয়ে ৫ বলে ২৩ রানে অপরাজিত ছিলেন ফেহলুকোয়াইয়ো।

 

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment